‘অনলাইনে ই-সিগারেট সহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বিপণন বন্ধে ই-ক্যাবের আহবান’

‘অনলাইনে ই-সিগারেট সহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বিপণন বন্ধে ই-ক্যাবের আহবান’

অনলাইনে ই-সিগারেট সহ তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও বিপণন বন্ধে আহবান জানিয়েছে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ই-ক্যাব ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সেমিনারে এ আহবান জানানো হয়। সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল- ‘ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও তার বাস্তবায়নে অনলাইন উদ্যোক্তাদের করণীয়’। রুরাল ই-কমার্স স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ইবরাহিম খলিলের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন- ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক, ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সাহাব উদ্দীন শিপন, সহ-সভাপতি, ই-ক্যাব, ইকবাল মাসুদ, পরিচালক, স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, ডা. সালেহ মাহমুদ তুষার, চেয়ারম্যান, ই-ক্যাব ই- হেলথ স্ট্যান্ডিং কমিটি এবং মোঃ মোখলেছুর রহমান, সহকারী পরিচালক, স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।
সেমিনারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, তামাক সবদিক দিয়েই ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সিগারেট ছেড়ে দেবার উপায় হিসেবে ই-সিগারেটকে স্বীকৃতি দেয়নি। ভারতে এটি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পৃথিবীর আরো অনেক দেশেও ই-সিগারেট ক্ষতিকর বলেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, ই-সিগারেট বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্টাইল ও আভিজাত্যের প্রতীক। আর যুব সমাজ যেহেতু অনলাইনের উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল, সুতরাং অনলাইনে তামাকজাত পণ্যের সহজলভ্যতা তাদেরকে ই-সিগারেটের প্রতি আরো উৎসাহিত করবে। অনলাইনে ই-সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যে বিক্রয় বন্ধে ই-ক্যাব এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দীন শিপন বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে ব্যবসায়ীদের উচিত সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু বিক্রয় না করা। অন্তত নৈতিক দিক বিবেচনা করে হলেও ব্যবসায়ীদের উচিত তামাকজাত পণ্যে বিক্রয় না করা। ই-ক্যাবের সদস্যদের কাছে আমার এ ব্যাপারে অনুরোধ থাকবে যাতে আমরা ই-সিগারেট সহ তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকি। এছাড়া আগামীতে ডিজিটাল কমার্স নীতিমালা, আইসিটি নীতিমালা ও শুদ্ধাচার নীতিমালা সংশোধনে এই বিষয়ে সুপারিশ উত্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।
ই-ক্যাবের ই-হেলথ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. সালেহ মাহমুদ তুষার বলেন, বিশ্বের ৪১টি দেশে ইতিমধ্যে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করছে। অন্য দেশগুলোতেও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত ই-সিগারেট বন্ধে কোন আইন নেই। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টদের উচিত এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
প্রসঙ্গত, প্রায় দেড় হাজার সদস্য নিয়ে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে ই-ক্যাব শক্ত অবস্থানে রয়েছে। আর ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে এবার উভয় প্রতিষ্ঠানের একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার ২০৪০ সালে দেশকে তামাক মুক্ত করা জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণাকে আরো বেগবান করবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।