হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) মধ্যে মানব প্রেম, সামাজিক উন্নয়ন ও আধ্যাত্ম সাধনার সংমিশ্রন ঘটেছিল। পাশাপাশি দুরদর্শিতার সাথে সাংগঠনিক চিন্তার মধ্য দিয়ে তার চিন্তা ও কর্মকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা করেছেন।
৮ জুলাই ২০১৮ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর দর্শন: মানবসেবার প্রাতিষ্ঠানিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থানকালে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের প্রধান ইকবাল মাসুদ একথা বলেন।
তিনি বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) নানামুখী সমাজ উন্নয়নের মধ্যদিয়ে মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের পথ নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। তিনি কর্মকালীন সময়ে বহু প্রতিষ্ঠান তৈরি ও উন্নয়ন ধারাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করেছেন। এর মধ্যে আহ্ছানিয়া মিশন সর্বশ্রেষ্ঠ সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)’র কার্যকালে শিক্ষা বিভাগে যেসব সংস্কার করেন তারও মূলে ছিল মানবসেবা। তিনি বুঝতেন সকল শ্রেণীর, বর্ণের, ধর্মের মানুষের সমান অংশগ্রহণ ছাড়া কোন দেশ ও জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনা। তাই তিনি সবসময় মুসলমান সমাজের প্রতি সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ত্যাগ করে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ। ইসলামিয়া কলেজ ছাড়াও তিনি কর্মজীবনে বহু স্কুল, কলেজ ও হোস্টেল প্রতিষ্ঠাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়নের সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জিল্লার রহমান বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা সেই সময়ে নিজের উদ্যোগে পরের উপকারে এগিয়ে এসেছিলে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের পিডিজি লায়ন শেখ আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের সমাজে প্রতিদিন শতশত চিন্তার জন্ম হচ্ছে। কিন্তু সেই চিন্তাগুলো পরের দিন দৌঁড়াতে শেখেনি। ফলে চিন্তুগুলোর অপমৃত্যু হচ্ছে। খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা বুঝতে পেরেছিলেন চিন্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, চিন্তাকে গতি দিতে হবে তাই তিনি প্রায় শতবছর পূর্বে প্রাতিষ্ঠানিকতার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনির্ভাসিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা)-এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেজর আহমদ উল্লাহ মিয়া (পিএইচডি), ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক ড. এম. এহ্ছানুর রহমান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক ড. খলিলুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সূফীজম-এর পরিচালক ও সাবেক জেলা দায়রা জজ মো. ইসমাইল মিঞা।
সেমিনারটি আয়োজন করে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আহ্ছানিয়া ইন্সটিটিউট অব সূফীজম।