ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাটেল অব মাইন্ড-২০১৯ এর রোডশো বন্ধ

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাটেল অব মাইন্ড-২০১৯ এর রোডশো বন্ধ

চাকরি প্রদানের অজুহাতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ এর কার্যক্রম শুরু করেছে মৃত্যুবিপণনকারী বহুজাতিক তামাক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)। জুলাই মাসের শুরুতে দেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এক্সসীড ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর নামে প্রতিনিধি নিয়োগ প্রদান করে থাকে। নিয়োগ প্রাপ্ত অ্যাম্বাসেডর বিভিন্ন ধরনের ক্যারিয়ার ক্লাবের মাধ্যমে এই পর্যন্ত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ এর রোডশো শুরু করেছে এবং নিবন্ধন করছে। ১৬ সেপ্টেম্বরে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে রোডশো আয়োজন করার কথা ছিল। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ব্যাটল অব মাইন্ড’ রোডশো বন্ধ করতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, মাদক বিরোধী সংগঠন- প্রত্যাশা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, উবিনিগ, টিসিআরসি, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ আজ (১৬ সেপ্টেম্বর) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক এবং স্টুডেন্ট এফেয়ার্স অফিসের পরিচালক দিলারা আফরোজ খান রুপার সঙ্গে দেখা করে রোডশো বন্ধে অনুরোধ জানায়। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাটেল অব মাইন্ড এর রোডশো হবে না। এবং ভবিষ্যতে যেন এধরনের কোন কার্যক্রম যেন পরিচালিত না হয় সে বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। তখন প্রতিনিধি দলটি তাঁেক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রসঙ্গত, ব্যাটেল অব মাইন্ড বন্ধে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বরাবর আহ্ছানিয়া মিশন চিঠি প্রদান করে।
উলেøখ্য, বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে মূলত ব্র্যান্ড প্রমোশন , তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতেই এই মৃত্যুবিপণন প্রতিযোগীতার আয়োজন করে আসছে। কর্মসংস্থান প্রদানের নামে কোম্পানিটি প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে চাকুরি প্রদানের অজুহাতে ৩০ হাজারের অধিক তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলেও চাকরি পেয়েছে মাত্র ১০০ জন বা এর সামান্য কিছু বেশি।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(গ) ধারায় কোন ধরনের প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের কোন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি আইনের এই ধারা লংঘন করলে অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদÐ বা অনুর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদÐ বা উভয় দÐের বিধান আছে। বিএটিবির এধরনের কার্যক্রম ২০৪০ সালের মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের অন্তরায়।