বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পারিবারিক সভা

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পারিবারিক সভা

“মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ” এই ¯েøাগানে এ বছর পালিত হচ্ছে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এই দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে গত ১৩ই অক্টোবর ২০১৯ আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে “মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবারের ভুমিকা” এই বিষয়ে পারিবারিক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত আলোচকগন বলেন একজন ব্যক্তির আতœহত্যার ঝুঁকি হ্রাসে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম এজন্য পরিবারের সকলের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সভাটি ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের হেলথ সেক্টরের ট্রেনিং রুমে আয়োজন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারী ছিলেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা পরিবারের সদস্যদগন এবং এই সেবার সাথে সম্পৃক্ত পেশাজীবিগন। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে জান্নাত। এরপর “মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবারের ভূমিকা” বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী কেন্দ্রের কাউন্সেলর ফাইরোজ জীহান। উক্ত সভায় বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন মনোচিকিৎসক ও এ্যাডিকশন প্রফেশনাল ডা. আক্তারুজ্জামান সেলিম এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মনোরোগবিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুন নাহার। মূল বিষয় আলোচনার পরে মুক্ত আলোচনা শুরু হয় এ সময় সভার আলোচকগন অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সভার শেষে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মানসিক ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ও মনোযতেœর সমন্বয়কারী মোঃ আমির হোসেন।
উল্লেখ্য এবারের মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্যে আতœহত্যা প্রতিরোধে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশ্বে আত্মহত্যার কারণে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। প্রতি বছর গড়ে ১০,০০০ হাজার নারী আতœহত্যা করে। শুধুমাত্র বংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২৯ জনেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকরী যে ৮টি উপায়ের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে এর মাঝে পারিবারিক সামাজিক বন্ধন, সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা এবং প্রিয়জনের সান্নিধ্য অন্যতম। তাই মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ও আতœহত্যা প্রতিরোধে এই বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।