বিভিন্ন পাবলিক প্লেস বিশেষ করে নৌ-বন্দরসমূহে, লঞ্চঘাটে এবং পাবলিক পরিবহন বিশেষ করে লঞ্চে অসংখ্য যাত্রী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়। এই পরোক্ষ ধূমপানের হার হ্রাসে, আজ ১৯ মার্চ, বেলা ১২টায় মতিঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় প্রধানদের মাসিক সমন্বয় সভায় ‘নৌ-পরিবহন ও নৌ-বন্দরসমূহ ধূমপানমুক্ত রাখা হবে’- এরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক (জি) এসইউপি এনডিসি, পিএসসি, বিএন মাসিক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত দেন। তিনি আরো বলেন, নৌ-বন্দরসমূহের বিভিন্ন স্থানে বড় এলইডি টিভি স্থাপন করা হচ্ছে এবং জনসাধারনের জন্য এসকল টিভিতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক সচিত্র বার্তা প্রদান করা হবে। সেখানে তামাকবিরোধী সচিত্র বার্তা বা ভিডিও ক্লিপস প্রচার করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও বড় বড় সচেতনতামূলক সভা আয়োজনের মাধ্যমে নৌ-পরিবহন ও নৌ-বন্দর গুলো ধূমপানমুক্ত করা হবে। এসকল কাজ বাস্তবায়নের জন্য সভার সভাপতি বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
এই সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর সদস্য (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও যুগ্ম সচিব মো: গোলাম মোস্তফা, সদস্য (অর্থ) ও যুগ্ম সচিব মো: শহিদুল ইসলাম, সদস্য (প্লানিং ও অপারেশন) ও যুগ্ম সচিব মো: নুরুল আলম, সচিব কাজী ওয়াকিল নওয়াজ সহ সকল বিভাগীয় প্রধানগণ। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিল সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শরফউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্ এর গ্রান্টস ম্যানেজার ডা: মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া, প্রোগ্রাম অফিসার মো: আতাউর রহমান এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রোগ্রাম অফিসার আমিনুল ইসলাম সুজন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ইকবাল মাসুদ সভায় উপস্থিত থেকে সকল নৌ পরিবহন ও নৌ-বন্দরসমূহে ধূমপানমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সভার সভাপতি বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন। অন্যদিকে সভায় নৌ পরিবহনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন এর ওপর তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন রহমান।