ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন অঞ্চল -৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান এর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এর সহায়তায় আজ ০৩ জুলাই, বুধবার, মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প সংলগ্ন, শ্যামলী বাস স্টান্ড এলাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ এর ধারা-৫ অনুসারে তামাকতজাত দ্রব্য বিক্রয় স্থলে (Point of Sale) সকল ধরনের বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারনা নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও যুব সমাজকে ধূমপানের আকৃষ্ট করার জন্য তামাক কোম্পানিগুলো অবৈধভাবে বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১৩টি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের দোকানে সিগারেটের খালি মোড়ক দিয়ে তৈরী করা বিজ্ঞাপন বক্স ধ্বংস করেন এবং অপর দিকে শ্যামলী বাস স্টান্ড এলাকার ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ এর ধারা-৭ অনুযায়ী তিনটি রেস্টুরেন্টকে আইন অনুসারে ধূমপানমুক্ত সাইনেজ না থাকায় ১০০০ করে মোট ৩০০০ টাকা জরিমানা করেন। এবং মালিক কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয় যে তারা যেন যথা সময়ের মধ্যে আইন অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমানে ধূমপানমুক্ত সাইনেজ স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহন করেন। এবং আইনের ধারা-৫ অনুসারে তিনটি তামাকতজাত দ্রব্য বিক্রয়ের দোকানকে ১০০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা জরিমানাসহ সিগারেটের ডিসপ্লে বক্স ভাঁঙ্গা হয়।
উক্ত দুইটি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সহায়তায় ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫ এর স্বাস্থ্য পরিদর্শক আব্দুল খালেক মজুমদার। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনকে উদ্বদ্ধুকরণের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন আওতাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহায়তা প্রদান করছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।