তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ২০,০০০ টাকা জরিমানা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন অঞ্চল -১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপ-সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল মজুমদার এর নেতৃত্বে এবং ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ এর সহায়তায় আজ ১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার, ধানমন্ডি এবং কলাবাগান এলাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। ধানমন্ডি এবং কলাবাগান এলাকায় তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়কারী ছোট বড় মাঝারি, টং দোকানসহ যে সকল দোকানে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন রয়েছে তা অপসারনে অভিজান চালান। বিশেষ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানীর মালবোরো ব্যান্ডের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ধানমন্ডি ১২নং রোড এর নিউ শহিদ জেনারেল ষ্টোর কতৃপক্ষ থেকে ২০,০০০/- টাকা জড়িমানা আদায় ও বিজ্ঞাপন বক্সটি ধংস করেন। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে তামাকজাত দ্রব্যের সকল ধরনের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রচারনা নিষিদ্ধ। উল্লেখ্য যে, তামাক কোম্পানীগুলো তামাকজাত দ্রব্যের অধিক উৎপাদন ও মুনাফা লাভের আশায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গ করে যুবসমাজকে ধূমপানে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশলে পাবলিক প্লেসসহ বিভিন্ন স্থানে বিজ্ঞাপন প্রচার করে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের বিভিন্ন পথঘাট প্রদক্ষিণ করলে ছোট বড় নানা রংয়ের তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদনকারী কোম্পানীর বিজ্ঞাপনের বক্স বা পয়েন্ট অব সেল দেখা যাচ্ছে।

তামাক কোম্পানীর এই ধরনের কূটকৌশলকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে সার্বিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কলাবাগান এলাকার ফুটপাতের উপর অবস্থানরত ৫টি টং দোকানের বিজ্ঞাপন ধংসসহ, নিউ শহিদ জেনারেল ষ্টোরকে অর্থ দন্ড ও ১০টি বিজ্ঞাপনের বক্স বা পয়েন্ট অব সেল ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ সময় পরিস্থিতি বুঝতে পেয়ে অন্যান্য টং দোকানগুলোর মালিক পক্ষ পালিয়ে যায় বিধায় আর্থিক জড়িমানা আদায় করা সম্ভব হয়নি।

উক্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় সহায়তায় ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল -১ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনাব মোঃ রিয়াজুল হোসেন এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কর্মকর্তা উম্মে জান্নাত ও অদুত রহমান উপস্থিত ছিলেন।