ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উদ্যোগে কারাগারে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপিত

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উদ্যোগে কারাগারে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উদযাপিত

আজ ১০ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য -“মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ও আত্মহত্যা প্রতিরোধ”। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক বাস্তবায়িত ও জিআইজেড বাংলাদেশ এর কারিগরি সহযোগিতায় কারা অভ্যন্তরে কারাবন্দীদের মাদকাসক্তি বিষয়ক চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম “ইমপ্রুভমেন্ট অব দ্যা রিয়েল সিচুয়েশন অফ ওভার ক্রাউডিং ইন প্রিজন ইন বাংলাদেশ (আইআরএসওপি)” প্রকল্পের উদ্যোগে দিবসের প্রতিপাদ্যের উপর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় দিবসের তাৎপর্য ও মানসিক স্বাস্থ্যের গুরত্ব তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রকল্পের রিহ্যাবিলিটেশন সুপারভাইজর ও কাউন্সেলরগণ। সভায় মূল প্রবন্ধে আত্মহত্যার বিভিন্ন পরিসংখ্যান উপস্থাপন করতে গিয়ে বলা হয় বিশ্বে আত্মহত্যার কারণে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে। আত্মহত্যা করছেন এমন মানুষগুলোর বেশীর ভাগই মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকে। আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে মানসিক সমস্যাকেই ধরা হয়। এছাড়াও বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে ২০১২ সালে বিশ্বব্যাপী ৮ লক্ষ আত্মহত্যার মধ্যে ১,৭৫,০০০ হাজার এর আত্মহত্যার কারণ ছিল মাদক ব্যবহার। সভায় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেল সুপার, ডেপুটি জেলার ।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত হয়ে মানুষ একসময় হতাশ হয়ে যায় এবং বেপরোয়া জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। মাদক গ্রহণের ফলে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক ক্ষতি হতে থাকে এবং আচরণ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে, পাশাপাশি অসামাজিক কার্যকলাপ যেমন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয় পাশাপাশি সামাজিক ও আর্থিক সমস্যার সবাধান হিসেবে অনেকে আত্মহত্যা করে বা বিভিন্ন রকম মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। পরিশেষে বন্দীদের মানসিক যতœ ও অপরাধী জীবনে থেকে দূরে থাকা ও আত্মহত্যা প্রতিরোধে মানসিক যতœ ও পারিবারিক স¤পর্কের উপর গুরত্বারোপ করেন।